গত ০২/০৩/১৮ তারিখে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন এর সম্মানিত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবংসাবেক মূখ্য সচিব জনাব মোঃ আবদুল করিম, হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন এর সহযোগীতায়, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা কতৃক বাস্তবায়িত সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় সমৃদ্ধি গ্রাম পরিদর্শন করেন।এই কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত চানন্দী ইউনিয়নে প্রায় ৭০০ বাড়ি সমৃদ্ধ বাড়িতে পরিনত হয়েছে।এই বাড়ি গুলোর মূল বৈশিষ্ট হল এই বাড়ি গুলো জলবায়ু সহিষ্ণু ভাবে তৈরি।প্রতিটি বাড়ি ৫ফিট উচ্চতায় স্থাপিত হয়েছে যেনবন্যা বা জলোচ্ছ্বাস এর সময় পানি ঢুকতে না পারে।এছাড়া ও প্রতিটি বাড়ি তে জলবায়ু সহিষ্ণু সর্জন পদ্ধতি তে সবজী এবং মাছের চাষ করা হচ্ছে।বাড়ির চার দিকে এবং পুকুরের চার পাশে রয়েছে ফলজ,বনজ এবং ভেষজ গাছ।প্রতিটি বাড়ি তেই গরু,মুরগী ও হাস লালন পালন করা হয়। সুপেয় পানি এবং স্যানিটারি ল্যাট্রিন রয়েছে প্রতিটি বাড়িতে। এই আদর্শ মডেল টি পরিদর্শন করে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক মূখ্য সচিব জনাব মোঃ আবদুল করিম বলেন শুধু আমদের দেশেই নয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জন্যও এটি হতে পারে আদর্শ মডেল।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ রফিকুল আলম, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জনাব মির্জা মোঃ নাজমুল হক এবং প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অফিসার জনাব মোঃ গোলাম রব্বানী।
নিঝুমদ্বীপ,বাংলাদেশের দক্ষিন প্রান্তে অবস্থিত অবহেলিত এক জনপদের নাম৷ প্রায় ৫০ হাজার জনগোষ্ঠীর আবাস্থল এই নিঝুমদ্বীপ৷জোয়ার ভাটার
কারণে প্রায় সময়ই লবন পানির প্রাদুর্ভাব থাকে।বেড়ি বাধ না থাকায় প্রায়ই এলাকাটি লোনা পানিতে প্লাবিত হয়৷নানা দুর্যোগের সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে এই দ্বীপের মানুষ। এই দ্বীপ এর মানুষের জীবিকা উন্নয়ন এর লক্ষ্যে পল্লী কর্ম ফাউন্ডেশন এর লিফট কর্মসূচীরর আওতায় দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা কতৃক স্থাপিত ভেড়ার খামারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের মাননীন ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবং সাবেক মূখ্য সচিব জনাব মোঃআবদুল করিম। এই কর্মসূচী স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, উপজেলা পরিষদ, এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী কতৃক অত্যন্ত প্রশংসিত হয়। স্থানীয় জনগন এই কর্মসূচী নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহী।